জনপ্রিয় কোরিয়ান থ্রিলার সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর তৃতীয় সিজন দিয়ে সমাপ্তি ঘটলেও শেষ মুহূর্তের একটি বিশেষ দৃশ্য নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। নিউইয়র্কের রাস্তায় এক ভবঘুরের সঙ্গে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্লানচেটের থাকজি খেলার দৃশ্য দেখে দর্শকদের মাঝে জোরালো হয়ে ওঠে স্কুইড গেমের হলিউড সংস্করণ তৈরির গুঞ্জন। শেষ সিজনের এই চমক সিরিজপ্রেমীদের নতুন প্রত্যাশার দ্বার খুলে দেয়।

সিরিজ নির্মাতাদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকায় ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে সেই অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম কলাইডার জানিয়েছে, আগামী বছর শুরু হচ্ছে ‘স্কুইড গেম: আমেরিকা’ সিরিজের শুটিং। প্রজেক্টটি পরিচালনা করবেন খ্যাতিমান হলিউড নির্মাতা ডেভিড ফিঞ্চার। মূল সিরিজের পরিচালক হোয়াং ডোং হিয়োক এই নতুন সংস্করণে থাকবেন প্রযোজকের ভূমিকায়।

যদিও এখনো নেটফ্লিক্স বা নির্মাতা সংস্থা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তবে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্স (FTIA)-এর তথ্য ভাণ্ডারে পাওয়া গেছে শুটিংয়ের সময়সূচি। তালিকা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন স্থানে শুটিং শুরু হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নতুন সিরিজটি মূল স্কুইড গেমের রিমেক নয়। বরং কোরিয়ান ফরম্যাটকে ভিত্তি করে নতুন গল্প নিয়ে তৈরি হবে পুরোপুরি একটি হলিউড সংস্করণ। তবে খেলাগুলোর কাঠামো এবং উত্তেজনাপূর্ণ ধাঁচ আগের মতোই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিরিজটি সম্ভবত ২০২৮ সালে মুক্তি পেতে পারে।

২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর প্রথম সিজনেই বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্কুইড গেম। পরবর্তী সিজনগুলো ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০২৫ সালের জুনে মুক্তি পায়। তিনটি সিজন মিলিয়েই সিরিজটি নেটফ্লিক্সের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রযোজনার অবস্থান ধরে রেখেছে। চরিত্র, গল্প, এবং নির্মাণশৈলীর অনন্যতার কারণে সিরিজটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও নির্মাতারা গল্পকে প্রয়োজনের বেশি দীর্ঘ করেননি। তৃতীয় সিজনে গল্পকে স্বাভাবিক ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে সমাপ্তি টানা হয়েছে। তবে সিরিজের শেষ দৃশ্যই নতুন রহস্য ও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, যা দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সারা বিশ্বের দর্শকদের নজর এখন স্কুইড গেমের হলিউড যাত্রার দিকে। নতুন সংস্করণে কেমন গল্প, চরিত্র এবং পরিবেশ দেখা যাবে, সেটিই এখন কৌতূহলের কেন্দ্র। হলিউডে গিয়ে সিরিজটি কতটা নতুনত্ব আনতে পারে, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে কোটি দর্শক।