দেশের দুর্নীতিতে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া


ফারিয়ার স্ট্যাটাসে রাজনৈতিক তোপ। ছবি : সংগৃহীত
জনপ্রিয় ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া অভিনয়ে এখন তেমন ব্যস্ত না থাকলেও বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব রয়েছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শবনম ফারিয়া লেখেন, “এদিকে আবার এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাব আমরা?” দেশের নাগরিক হিসেবে হতাশা আর অক্ষমতার অনুভূতি তুলে ধরেছেন তিনি।
এর আগেও শবনম ফারিয়া রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৪ সালের ২৪তম অভ্যুত্থানের সময়ও তার প্রতিবাদমূলক মন্তব্য ছিল আলোচনায়। নতুন এই পোস্টে তিনি আরও বলেন, “এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেব, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে ‘জুলাই সিডিআই’ লিখে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি, ডোনেশন, হাদিয়া নিয়ে কামড়াকামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিক করে।”
ফারিয়া আরও উল্লেখ করেন, সাধারণ মানুষ হিসেবে তারা যেন কিছু বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি বলেন, “মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি। কিছু বললেই এক পক্ষ বলে ‘ডলার খেয়েছেন’, আরেক পক্ষ বলে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর!’”
পোস্টের এক পর্যায়ে তিনি নিজের হতাশা প্রকাশ করে লেখেন, “১৬ বছর কিছু বলেননি কেন—এই প্রশ্নও ওঠে। অথচ আমার মত সাধারণ মানুষ কেবল চুপচাপ সহ্য করছি।”
জুন মাসেও দেশের রাজনৈতিক দুরবস্থা ও অস্থিরতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শবনম ফারিয়া। তখনই তিনি ঘোষণা দেন, তিনি আর দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো পোস্ট করবেন না।
সেই পোস্টে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “এই স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া বন্ধ করলাম! কারণ, আমি বুঝে গেছি—জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া ও নির্লজ্জ। যত আন্দোলন, সরকার পরিবর্তন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া নেতারা আসুক না কেন, কেউই দুর্নীতি বা চুরি থেকে আমাদের থামাতে পারবে না।”
সবশেষে অভিনেত্রীর হতাশা থেকে উঠে এসেছে এই তীক্ষ্ণ মন্তব্য: “শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ—যেই ক্ষমতা পাবে, সেই তার অসৎ ব্যবহার করবে।