আসামের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুর পর গোটা রাজ্য শোকে স্তব্ধ। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ডুবে গিয়ে তিনি জীবন হারান। তার মৃত্যু আসামের সংগীত ও সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছে।

আসাম সরকার ইতোমধ্যেই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিন গার্গের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শেষকৃত্যের স্থান হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে কামারকুচি (সোনাপুর সাব-ডিভিশন)। রাজ্য সরকার এই উপলক্ষে প্রায় ১০ বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে, যেখানে ভবিষ্যতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে মরদেহ রাখা হবে গুয়াহাটির অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এরপর শবযাত্রা নিয়ে যাওয়া হবে কামারকুচিতে, যেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুবিন গার্গের সংগীতে অবদানের প্রশংসা করেছেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পীকে।

জুবিন গার্গের গান এবং সৃষ্টিশীল অবদান আসামের সংগীত জগতে দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে আসামের সাংস্কৃতিক পরিসর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার সৃষ্টিগুলো যুগে যুগে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।