আসিফ–ওমর সানীর পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে নতুন মোড়


আসিফ আকবরের ব্যক্তিগত মন্তব্যের জবাবে ফেসবুকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। ছবি: সংগৃহীত
দেশের ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে মন্তব্য করার পর গত মাসে সমালোচনার মুখে পড়েন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। তার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন অনেক ক্রীড়াবিদ ও সাধারণ দর্শক। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে উপস্থাপক আবার বিষয়টি সামনে আনলে নতুন করে বিতর্কের জন্ম হয়, যা এখন আলোচনায় রয়েছে।
ওই পডকাস্টে আসিফ আকবর ওমর সানীকে নিয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য করেন। সেখানে তাকে ‘সহজ-সরল’, ‘চাপ বিক্রি করা মানুষ’ ও ‘নারীশাসিত পুরুষ’ বলে উল্লেখ করা হয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমালোচনামূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। যদিও মন্তব্যের শেষভাগে ‘আই লাভ হিম’ বলে বক্তব্য কিছুটা নরম করার চেষ্টা করা হয়, তবুও বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ওমর সানী।
সোমবার সকালে নিজের ফেসবুক ভিডিও বার্তায় ওমর সানী সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, তিনি কখনো আসিফের ব্যক্তি জীবন নিয়ে কটাক্ষ করেননি এবং শুধু একটি নির্দিষ্ট মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলাকে তিনি অনুচিত মনে করেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, আসিফ চাইলে তার সহ-অভিনেত্রী মৌসুমীর কাছে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানান, বিতর্ক থাকলে তা কাজ বা পেশাগত বিষয় নিয়ে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত, পরিবার নিয়ে নয়। তার বক্তব্যে ক্ষোভ ও আবেগের প্রকাশ স্পষ্ট ছিল।
এক পর্যায়ে ওমর সানী বলেন, প্রয়োজনে তিনি প্রকাশ্যে মুখোমুখি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে সমালোচনাকে অবশ্যই শালীনতার মধ্যে রাখার আহ্বান জানান তিনি। তিনি মনে করেন, এই ধরনের মন্তব্য দুই পক্ষের জন্যই সম্মানজনক নয় এবং এতে শিল্পীদের ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।
এই ঘটনার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই দুই তারকার প্রতি সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিষয়টি গঠনমূলকভাবে সমাধানের দাবি তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে আলোচনা করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিতর্ক এড়ানো সম্ভব।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার প্রত্যাশা করছেন তাদের ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী মহল। বিষয়টি এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।










