ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থকদের বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৩:৩৫ এএম
শাহবাগে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পর উচ্ছ্বসিত শিবির-সমর্থক শিক্ষার্থীরা। ছবি:সংগৃহীত

শাহবাগে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পর উচ্ছ্বসিত শিবির-সমর্থক শিক্ষার্থীরা। ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্যেই উচ্ছ্বাসে মুখর শাহবাগ। ইতোমধ্যে ঘোষিত ফলাফলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এসএম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খানও প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

শামসুন্নাহার, মুহসীন, এফ রহমান, রোকেয়া, এসএম, জহুরুল হক, জগন্নাথ, শহীদুল্লাহ, কার্জন, ফজলুল হক মুসলিম, অমর একুশে ও সুফিয়া কামাল হল থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে এই অগ্রগতি স্পষ্ট হয়েছে। ফলাফল ঘিরে শাহবাগে উচ্ছ্বসিত শিবির-সমর্থক শিক্ষার্থীরা বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে দেখা যায়, শাহবাগ এলাকায় জামায়াতে ইসলামী ও শিবির-সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লাস বিরাজ করছে। তারা স্লোগান দিচ্ছেন ‘শিবির-শিবির’ ও ‘সাদিক-ফরহাদ’ নামে। যদিও রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ফেসবুকে এক পোস্টে নির্বাচনের ফলাফলকে “পরিকল্পিত কারচুপি” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে নিরবচ্ছিন্ন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলে বিভিন্ন প্যানেল। এসময় ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যালটে আগাম টিক দেওয়ার অভিযোগে টিএসসিতে বিক্ষোভও করে ছাত্রদল।

শাহবাগে উপস্থিত শিবিরকর্মী আরমান বলেন, “দীর্ঘদিন আমরা নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছি। হলে হলে আমাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। আজকের এই বিজয় শুধু শিবিরের নয়, ঢাবির ছাত্রসমাজের এবং বাংলাদেশপন্থিদের।”

তবে ফল ঘোষণার আগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “যে ফলই আসুক না কেন, বিজয়ী হলেও কোনো ধরনের শ্লোগান বা মিছিল করা যাবে না।” তিনি আরও জানান, “শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই আমাদের মূল বার্তা। বিজয় হলে সেটি সংযমের মাধ্যমেই উদযাপন করতে হবে।