সিলেটে পাথর চুরি রোধে প্রশাসনের পাঁচ দফা ঘোষণা

সিলেট ( জেলা ) প্রতিনিধি
সিলেট ( জেলা ) প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট, ২০২৫ এ ৪:০০ এএম
জাফলং এলাকায় পাথর লুটপাট। ছবি : সংগৃহীত

জাফলং এলাকায় পাথর লুটপাট। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট জেলার জাফলং ও সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটপাট বন্ধ এবং চুরি হওয়া পাথর পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ।

গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের স্থায়ী চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং উদ্ধার হওয়া পাথর পূর্বের স্থানে ফেরত নেওয়া হবে। সম্প্রতি প্রশাসনের দুর্বলতা ও কিছু প্রভাবশালী মহলের লাগামহীন লুটপাটে সাদাপাথর এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু বছর ধরে পরিচিত এই নৈসর্গিক স্থানটি এখন অব্যাহত পাথর উত্তোলনের কারণে হারাচ্ছে তার স্বকীয় রূপ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন পাথর ব্যবসায়ীরা কখনও প্রকাশ্যে, কখনও রাতের অন্ধকারে সাদাপাথরসহ আশপাশের পাথর কোয়ারি থেকে নির্বিচারে পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই লুটপাটের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকেও সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।