রাজশাহীতে স্কুলে যেতে রশি টানা নৌকা শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা


ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার নওগাঁ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শিব নদী। এই নদী পারাপারের জন্য নেই কোনো সেতু। ফলে চালকবিহীন ছোট ডিঙি নৌকাই হয়ে উঠেছে স্থানীয় মানুষের ভরসা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে রশি টেনে নৌকায় নদী পার হয়ে স্কুলে যায়।
প্রায় ১০০ গজ দীর্ঘ নদীর দুই পারে বাঁধা রয়েছে রশি। সেই রশি ধরে ছোটরা কখনো শিক্ষকের সহায়তায়, কখনো একা নদী পার হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা নদীতে পড়ে যায়। সম্প্রতি তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নদীতে পড়ে গেলেও সহপাঠীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শুধু শিক্ষার্থী নয়, বড়রাও এভাবে নদী পার হতে ভয় পান। আগে এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল, কিন্তু সেটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর ফলে অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে সন্তানদের অনেকেই অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আগে যেখানে ২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ছিল, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১১৮ জনে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র নিরাপদ পারাপারের অভাবেই ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমছে।
অভিভাবকরা বলছেন, একটি সেতু নির্মাণ হলে চার থেকে পাঁচ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। তারা দাবি করেছেন, প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রতিদিনের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে একটি স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। এখন প্রশ্ন থেকে যায়—কবে তাদের দীর্ঘদিনের এই দাবি বাস্তবায়ন হবে?










