বরিশাল বিভাগের এক বন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে নারীদের প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি একের পর এক নারীকে বিয়ে করেছেন নানা প্রতারণার মাধ্যমে, পরে যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বন কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে—বিদেশে পড়াশোনা, সরকারি চাকরি, সম্পত্তির প্রলোভন—নারীদের বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের অল্প দিনের মধ্যেই তাদের ওপর চাপিয়ে দেন যৌতুক ও বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে নির্যাতন। ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ অন্তত ১৬ জন নারী এভাবে তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

সর্বশেষ অভিযোগ অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে বিয়ে করেন কবির হোসেন। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই তিনি খাদিজার বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেওয়ার দাবি তোলেন। রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে বরিশালের সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেন। খাদিজা অভিযোগ করেন, তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তারা অভিযোগ করেছেন, থানায়, আদালত ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করার পরও কোনো বিচার পাননি। একবার দাপ্তরিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেও প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় দ্রুত জামিন পেয়ে যান তিনি।

দ্রুততার সঙ্গে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগ তদন্ত করেছে। ভুক্তভোগী ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তবে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি।