ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে টানা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় সংগঠন সম্মিলিতভাবে এ অবরোধের ঘোষণা দেয়।

আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের ফলে ইতোমধ্যে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবির মূল বিষয় হলো—আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ভাঙ্গা উপজেলা থেকেই বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।”

চেয়ারম্যানের দাবি, ভৌগোলিকভাবে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা ভাঙ্গা থেকে দূরে অবস্থিত এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনো সম্পর্কই নেই। যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা তিন দিন সড়ক ও রেলপথ অবরোধ থাকবে। আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ ও মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, ভাঙ্গা হাসপাতাল গেটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। তিন দিন পর নির্বাচন কমিশনের প্রতি স্মারকলিপি দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে কমিশন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।