হৃদয় কাঁপানো লড়াইয়ে সিরিজ বাংলাদেশের দখলে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুলাই, ২০২৫ এ ৩:০৬ এএম
হৃদয় কাঁপানো লড়াইয়ে সিরিজ বাংলাদেশের দখলে

প্রতিশোধের রোমাঞ্চে সিরিজ বাংলাদেশের

পাকিস্তানের কাছে সেই হারের জ্বালা ছিল অটুট। এবার ঘরের মাঠে সেই হিসেব চুকিয়ে দিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারীদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে মিষ্টি এক প্রতিশোধ নিয়েছে সাকিব-মেহেদিরা। যদিও পাকিস্তানে আগের সফরে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ, তাই "ষোলো কলা" পূর্ণ হয়নি পুরোপুরি, তবে জবাবটা দিয়েছে ভালোভাবেই।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়টা এল রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে। মাত্র ৮ রানে জয়, যেখানে শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৮ রান আর বাংলাদেশের ২ উইকেট। টানটান উত্তেজনার সেই মুহূর্তে রিশাদ হোসেন ১৯তম ওভারে ৫ বলে দিয়ে বসেন ১৫ রান। চাপ বাড়ে বাংলাদেশের। তবে ওভারের শেষ বলে ফাহিম আশরাফকে ক্লিন বোল্ড করে খানিক স্বস্তি ফেরান রিশাদ।

শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন আহমেদ দানিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই মিডউইকেটে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়ে শেষ উইকেট হারায় পাকিস্তান। টাইমিং ভালো হলেও কপাল ছিল না দানিয়ালের—বাউন্ডারি লাইনে জমা পড়ল তাদের সব আশা।

এর আগে বাংলাদেশও সহজ জয় নিশ্চিত করতে পারত, যদি না ফাহিম আশরাফ, দানিয়াল আর আফ্রিদির ছোট ছোট জুটিগুলো হুমকি হয়ে দাঁড়াত। ম্যাচের শুরুতে শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৫ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট উড়ে যায়। মেহেদী হাসান মিরাজও তুলে নেন দ্রুত ২ উইকেট। স্কোর তখন মাত্র ৪৭/৭। সেখান থেকে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার লড়াই করে ম্যাচটিকে জমিয়ে তোলে।

শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স দেন শরিফুল ইসলাম।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে জাকের আলী অনিক ছিলেন মেরুদণ্ড। ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ১৩৩-তে নিয়ে যান তিনি। সঙ্গ পেয়েছেন শেখ মেহেদী, যিনি করেন ৩৩ রান। দল যখন ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন দু’জনের ৫৫ রানের জুটি হয়ে ওঠে ম্যাচ ঘোরানোর ভিত্তি।

পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি—তিনজনই নেন দুটি করে উইকেট।

 

আজকের প্রথা/ফা-আ