দ্বিতীয় মৌসুমেই কি দম হারাল স্লটের লিভারপুল?


ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে হারের পর হতাশ লিভারপুল খেলোয়াড়রা। ছবি: সংগৃহীত
টানা চার ম্যাচ হার—এমন দুঃসময় বহুদিন দেখেনি লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫–১ গোলে উড়িয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় আর্নে স্লটের দল। রোববার ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৩–২ গোলের পরাজয়ে আবারও আগের সব দুর্বলতা উন্মোচিত হলো।
এই হারে লিভারপুল নেমে গেছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বর স্থানে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা এখন চার পয়েন্ট পিছিয়ে। আর্সেনাল যদি পরের ম্যাচে জেতে, ব্যবধান দাঁড়াবে সাত পয়েন্টে। স্লটের বড় দুশ্চিন্তা—দল যেন অতীত ভুল থেকে মোটেও শিক্ষা নিতে পারছে না।
শুরুতেই গোল হজম, সেট পিসে দুর্বলতা, রক্ষণে ঢিলেঢালা মনোভাব—সব মিলিয়ে লিভারপুলের খেলা দিন দিন আগের ধার হারাচ্ছে। টানা ছয় ম্যাচে প্রথম গোল হজম করেছে তারা। প্রতিপক্ষরা আরও আক্রমণাত্মক, আরও ক্ষুধার্ত; অথচ লিভারপুলের ফুটবলে নেই আগের সেই আগ্রাসন বা আত্মবিশ্বাসের ছাপ।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র পাঁচ মিনিটেই ওয়াতারার গোলে পিছিয়ে পড়ে অল রেডরা। বিরতির আগেই কেভিন শাডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। মিলোস কেরকেজ একটি গোল শোধ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে বিতর্কিত এক পেনাল্টি থেকে ইগর থিয়াগোর গোল লিভারপুলকে আরও পিছিয়ে দেয়। শেষ মুহূর্তে মোহামেদ সালাহর গোল সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু এনে দিতে পারেনি।
এখনও মৌসুমের ২৯টি ম্যাচ বাকি, কিন্তু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের খেলায় প্রতিযোগিতা ধরে রাখার সেই ধার নেই। গ্রীষ্মকালীন দলে পরিবর্তন এলেও নতুন খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া এখনো গড়ে ওঠেনি। এই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স চলতে থাকলে শিরোপা লড়াই অনেক আগেই পিছনে পড়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত ছিল ব্রেন্টফোর্ডের তৃতীয় গোলটি, যেখানে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। লিভারপুলের খেলোয়াড়দের পেনাল্টি দাবিও উপেক্ষিত হয় একাধিকবার। ফলে প্রশ্ন উঠছে—দ্বিতীয় মৌসুমেই কি আর্নে স্লটের বিস্ময় থেমে যাচ্ছে?










