এশিয়া কাপে আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ দল


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পরও এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে আছে বাংলাদেশ। ছবি:সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সুপার ফোরে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের। নানা সমীকরণের জটিলতায় এখন লিটন দাসের দলকে শেষ চারে উঠতে হলে অন্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। তবে এমন বাস্তবতায়ও আশাবাদ হারাচ্ছে না দল। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলী স্পষ্ট জানালেন, এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩২ বল হাতে রেখে হারায় বাংলাদেশের নেট রান রেটে বড় ধস নামে। বর্তমানে ‘বি’ গ্রুপে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আফগানিস্তান, যাদের নেট রান রেট ৪.৭০০। অন্যদিকে লিটন দাসদের নেট রান রেট নেমে গেছে ঋণাত্মক -০.৬৫০ এ। শ্রীলঙ্কার অবস্থানও তুলনামূলক অনেক ভালো, তাদের নেট রান রেট ২.৫৯৫।
শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপর। অর্থাৎ, পরিস্থিতি পুরোপুরি দলের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবুও জাকের আলী দৃঢ় কণ্ঠে জানালেন, “আশা হারানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই জেতার মানসিকতা নিয়ে খেলি। এই ম্যাচেও চেষ্টা করেছি, হয়নি। তবে পরের ম্যাচে আমরা অবশ্যই জেতার মানসিকতা নিয়ে নামব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু ম্যাচ খেলতে আসিনি। এই টুর্নামেন্টে এসেছি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। এক ম্যাচ হার মানেই আশা শেষ হয়ে যাওয়া নয়।”
ম্যাচে বাংলাদেশের কিছু ভালো মুহূর্তও ছিল। ইনিংসের শেষ দিকে মাত্র ১৭ বলে ১৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নেয় বোলাররা। এছাড়া ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারীর ৬১ বলে ৮৬ রানের রেকর্ড জুটি দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করে।
তবে শেষ পর্যন্ত ফলাফল বদলানো যায়নি। লিটন দাস স্বীকার করেন, পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে যায়। তার ভাষায়, “উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। এমন উইকেটে ১৪০ রান করলে দুর্দান্ত বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হয়। আমরা সেটা করতে পারিনি। এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই বাঁচা-মরার লড়াই।”