আলকারাজকে হারিয়ে উইম্বলডনের নতুন ‘রাজা’ ইয়ানিক সিনার


উইম্বলডনের রাজা ইয়ানিক সিনার : ছবি সংগৃহীত
মাত্র ৩৫ দিন আগে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে পাঁচ সেটের মহাকাব্যিক লড়াই উপহার দিয়েছিলেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। উইম্বলডনের ফাইনালেও অনেকে একই রকম নাটকীয়তার প্রত্যাশা করছিলেন। কিন্তু সিনার সেই সম্ভাবনাকে অমলিন রেখে চার সেটেই চূড়ান্ত করেন ম্যাচের ফলাফল।
পুরুষ এককে শিরোপা লড়াইয়ে প্রথম সেট জিতে হাসছিলেন আলকারাজ। কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট বদলে দেন সিনার। দারুণ প্রত্যাবর্তনে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে আলকারাজকে হারিয়ে নিজের প্রথম উইম্বলডন শিরোপা জয় করেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান এই তারকার এটি ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। অন্যদিকে, টানা তৃতীয় উইম্বলডন ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় দ্বিতীয় বাছাই আলকারাজের।
ফ্রেঞ্চ ওপেনে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়েছিলেন আলকারাজ। এবার ঠিক উল্টো চিত্র—প্রথম সেট হারার পর বাকি তিন সেট দাপটের সঙ্গে জিতে প্রতিশোধ নেন সিনার। উইম্বলডন এককে শিরোপা জেতা প্রথম ইতালিয়ান খেলোয়াড়ও বনে যান তিনি।
অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে নেমেছিলেন টানা ২০ ম্যাচের জয়রথ নিয়ে। মজার বিষয়, উইম্বলডনে তাঁর সর্বশেষ পরাজয়ও এসেছিল সিনারের বিপক্ষে—২০২২ সালের চতুর্থ রাউন্ডে। এবারও সেই ইতিহাস পুনরাবৃত্তি হলো। শিরোপা জয়ের পর সাদা ক্যাপে হাত দিয়ে কিছুটা অবিশ্বাসের হাসি ফুটে ওঠে সিনারের মুখে। আলকারাজের সঙ্গে সৌজন্যমূলক হাত মেলানোর পর দর্শকদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতার কুর্নিশ করেন তিনি।
ছেলেদের টেনিসে ‘বিগ থ্রি’ যুগের পর সিনার-আলকারাজ জুটি যেন নতুন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সূচনা করেছে। গ্যালারিতেও ছিল তারার মেলা—টেনিস কিংবদন্তি আন্দ্রে আগাসি থেকে শুরু করে হলিউড তারকা নিকোল কিডম্যান ও কাইরা নাইটলিরা হাজির ছিলেন ম্যাচ দেখতে।
সিনার বলেছেন, ‘কার্লোসকে ধন্যবাদ—তুমি অসাধারণ খেলোয়াড় এবং কোর্টের বাইরে একজন চমৎকার মানুষ। আমি নিশ্চিত এই ট্রফি তুমি বহুবার উঁচিয়ে ধরবে।’ পরিবারকেও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই এবং দলের সবাই এখানে এসেছে। ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ, ফর্মুলা ওয়ান না থাকায় সে উইম্বলডনে এসেছে।’
এদিকে, হারের পর আলকারাজ স্বীকার করেন, ‘হার মেনে নেওয়া সবসময়ই কঠিন। তবে সবার আগে ইয়ানিককে ধন্যবাদ জানাই—শিরোপার পুরো প্রাপ্য তারই।’