এআই এজেন্টের উত্থানে ৪.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার গঠনের পথে বিশ্ব


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তির প্রতীকী দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে নতুন এক শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয়েছে। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম ‘এআই এজেন্ট’-এর বিস্তারের কারণে ২০৩৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক এআই বাজারের আকার ৪.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থাগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে এই খাতে আধিপত্য বিস্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বর্তমান সময়ে এআই আর কেবল সহায়ক সফটওয়্যার নয়, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম সম্পূর্ণ ডিজিটাল সহকারী হিসেবে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘এআই এজেন্ট’ মানুষের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, যা কাজের গতি ও দক্ষতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট এখন ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ডেটা বিশ্লেষণের মতো জটিল কাজও নিজের মতো করে সম্পন্ন করছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো সময় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাশ্রয় পাচ্ছে।উন্নত মডেল গুগল জেমিনি ৩ বাজারে আসার পর এআই প্রযুক্তির সক্ষমতা আরও বিস্তৃত হয়েছে। এই প্রযুক্তি একসঙ্গে টেক্সট, ছবি, ভিডিও, অডিও ও কোড বিশ্লেষণ করতে পারে, যা একে মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করেছে। গুগল সার্চও এখন একটি স্মার্ট ইন্টেলিজেন্স সেবায় রূপ নিয়েছে। ব্যবহারকারীর প্রশ্ন বুঝে এটি উন্নত ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ইন্টারেক্টিভ টুল এবং লাইভ সিমুলেশন তৈরি করতে পারছে, যা তথ্য গ্রহণের ধরণকে বদলে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এআই প্রযুক্তির এই অগ্রগতি কর্মক্ষেত্র থেকে মানুষকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেবে না। বরং মানুষ ও প্রযুক্তির যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান ও দক্ষতার চাহিদা তৈরি হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এআই প্রযুক্তির প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। আগামী দশকে এই খাত থেকেই সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বাজারের জন্ম হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা বিশ্ব প্রযুক্তি শিল্পে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।










