রাজধানীতে শান্তির আহ্বানে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা


ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ছবি:সংগৃহীত
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য ‘জশনে জুলুস’। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ইন্তেকালের স্মৃতিতে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া।
ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উদ্যানে সমবেত হন। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়া ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম গেইট থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উদ্যানে ফিরে আসে এবং শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। পুরো শোভাযাত্রাজুড়ে ধ্বনিত হয়— ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রিসালত, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)’। মুসল্লিরা হাতে বহন করেন কালেমাখচিত পতাকা, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও বিশাল জাতীয় পতাকা। কারও কারও হাতে ছিল গাজার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ডও।
শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহানবী (সা.) মানবতার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তাঁর আদর্শই ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল পথ।
তিনি আরও বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবীজুড়ে চলছে যুদ্ধ ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।”
হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল দিনেই নবী করীম (সা.) জন্মগ্রহণ ও ইন্তেকাল করেন। বিশ্বের মুসলিমদের মতো বাংলাদেশেও দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে শনিবার দেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগ, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি পরিষেবা চালু থাকে।
দিনটিকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং জাতীয় শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।










