ধর্ম উপদেষ্টা জানালেন কবে হবে বিশ্ব ইজতেমা


ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে।। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে সফল আলোচনার পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হইবে বলিয়া জানাইয়াছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে দেশে নির্বাচনের আমেজ শুরু হইয়া গিয়াছে এবং এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমস্ত মনোযোগ ও প্রস্তুতি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দিকে নিবদ্ধ থাকিবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, নির্বাচনী এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এই সকল বিবেচনায় রেখেই ইজতেমা আয়োজনের তারিখ নির্ধারণের জন্য তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দুই পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, আলোচনায় উভয় পক্ষই নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তাবের প্রতি তাদের পূর্ণ সম্মতি ও সমর্থন জ্ঞাপন করিয়াছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দৃঢ়তার সহিত বলিয়াছেন যে, সরকারের পক্ষ হইতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হইতেছে। আপাতত দৃষ্টিতে নির্বাচনের সময়সূচি পিছাইয়া দেওয়ার কোনো প্রকার লক্ষণ অথবা পরিকল্পনা নাই বলিয়া তিনি জানান। তিনি আরও যোগ করেন যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা অব্যাহত রহিয়াছে এবং এই আলোচনাপ্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় নাই।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই মাসের সনদে স্বাক্ষর না করার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন যে, উক্ত দলটির সঙ্গে সরকারের পক্ষ হইতে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা চলমান রহিয়াছে। তিনি এই অবস্থাকে অস্থায়ী বলিয়া অভিহিত করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই বিষয়ে দ্রুতই ইতিবাচক কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হইবে।
ব্রিফিংয়ের অন্যতম একটি আলোচ্য বিষয় ছিল ড. জাকির নায়েকের বাংলাদেশ আগমন সংক্রান্ত বিষয়। এই প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করিয়া বলেন যে, ড. জাকির নায়েককে বাংলাদেশে আনার জন্য যাহারা আগ্রহী, তাহারা ইতিমধ্যেই তাহার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করিয়াছেন। তবে তিনি এই বিষয়টিকে সরাসরি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত না বলিয়া উল্লেখ করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, এই ধরনের বিদেশি ব্যক্তির আগমন ও অবস্থান সংক্রান্ত সকল বিষয় মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। তাই এই ক্ষেত্রে তাহার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কোনো বিষয় নাই, বরং প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ও নিয়মই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভিত্তি হইবে।










