নির্বাচনী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিদেশি সমর্থনে তারেক রহমান


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান সংসদ সদস্যরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে তারা একযোগে কথা বলেছেন। বিদেশি প্রতিনিধিদের এমন অবস্থানকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি অস্ট্রেলিয়ান এমপিদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি লিখেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচনী অখণ্ডতা রক্ষায় অস্ট্রেলিয়ান সংসদ সদস্যরা যেভাবে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন, তা সর্বজনীন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের নানা প্রান্তে নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সাধারণ মানুষ স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার অধিকার চায়—এ প্রত্যাশাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান এমপিদের বক্তব্যে।
তারেক রহমান আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ান সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবার নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে এসব উদ্বেগ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরছেন। অস্ট্রেলিয়ান সমাজে তাদের অবদান এবং মাতৃভূমির সঙ্গে নিবিড় সংযোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে। তাদের অকৃত্রিম সমর্থন বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও আকাঙ্ক্ষাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পোস্টের শেষে তারেক রহমান লেখেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি জানানোয় তিনি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বৈশ্বিক অঙ্গীকার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জাতিগুলো একত্রে কাজ করলে শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথ আরও সুদৃঢ় হয়।









