আ.লীগ–জাপাসহ ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবিতে আইনি নোটিশ

রাজনীতি ডেস্ক
রাজনীতি ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ এ ৩:৩০ এএম
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ প্রদান প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ প্রদান প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং তাদের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও আইন মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা অন্তত ৩৬টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই জোট মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) নোটিশ প্রদান করে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জোটের পক্ষে আইনি নোটিশটি প্রদান করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বোরহান মাহমুদ)। নোটিশে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য দায়ী করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ধাপে ধাপে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করে। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে এই শাসনব্যবস্থা চূড়ান্ত রূপ পায়। প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে চলা এই শাসনের অবসান ঘটে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, যা গণঅভ্যুত্থানের ফল বলে দাবি করেছে জুলাই ঐক্য।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এই সময়ে জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, যা ১৪ দলীয় জোট নামে পরিচিত ছিল। দীর্ঘ অপশাসনে এসব দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জুগিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের দাবি, গত বছরের জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে ভারতে ও অন্যান্য দেশে পালিয়ে যান। তবে দেশ ছাড়ার পরও তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র ও সহিংস কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সাম্প্রতিক একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও প্রথম সারির জুলাই যোদ্ধা এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী অপতৎপরতার অংশ হিসেবে দেখছে জুলাই ঐক্য।

জুলাই ঐক্যের নেতারা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। তবে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি।