তারেক রহমান-বাবরের খালাসের রায় বহাল করল আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৪:৩৯ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে চালানো এ হামলায় নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ হামলাকে একটি কলঙ্কিত ও বিভীষিকাময় অধ্যায় হিসেবে মনে করা হয়।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়া নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একাধিকবার তদন্তের পর ২০১৮ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সব আসামিকে খালাস দেন, যেখানে তদন্তের দুর্বলতা ও অসঙ্গতির কারণে ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে দীর্ঘ শুনানির পর আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল রাখেন। এই রায়ের ফলে বাংলাদেশে বহুল আলোচিত মামলাটির নতুন মোড় তৈরি হলো, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।