হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত আজ


বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ছবি: সংগৃহীত
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আজ আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এ মামলায় পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসামিদের মধ্যে বর্তমানে গ্রেফতার রয়েছেন তিন সেনা কর্মকর্তা। গত ৯ নভেম্বর উপস্থিত আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু শুনানি করেন। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতন—এই তিনটি গ্রাউন্ড বিবেচনার আবেদন জানান। অপর গ্রাউন্ড হিসেবে গুমের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
দুলুর শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনজীবী হাসান ইমাম, আমির হোসেনসহ অন্যরা ডিসচার্জ চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।
শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও শাইখ মাহদীসহ অন্যান্যরা। তারা জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন এবং ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ২৬ জনের ঘটনার বিবরণ উপস্থাপন করেন।
এ মামলায় গ্রেফতার তিন সেনা কর্মকর্তা হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, সাবেক ডিজি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় এবং অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। আজকের আদেশের মাধ্যমে মামলার পরবর্তী বিচারিক ধাপ নির্ধারিত হবে বলে জানা গেছে।









