হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি

আজকের প্রথা প্রতিবেদন
আজকের প্রথা প্রতিবেদন
৭ জুলাই, ২০২৫ এ ৬:৩৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে ইসরায়েল-হামাস পরোক্ষ আলোচনার প্রথম ধাপ। এই তথ্য সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তার মতে, কাতারের রাজধানী দোহায় দুটি পৃথক ভবনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর দুপক্ষের মধ্যে কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার ও মিসর, যাদের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা জানান, আগামী সোমবার আবারও আলোচনা শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলোর সমাধানে পৌঁছাতে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন মধ্যস্থতাকারীরা।

এদিকে, ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট ক্ষমতাবান ছিলেন না। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য যথাযথ শক্তিশালী প্রতিনিধি পাঠায়নি, যা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

এই পরোক্ষ আলোচনা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, এই সাক্ষাৎ যুদ্ধবিরতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা যদি নির্দিষ্ট শর্তে ইসরায়েলি সরকারের সম্মতি পায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে সব ধরনের নির্দেশ দেয়া হবে।

অন্যদিকে, হামাস বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তবে, দুপক্ষের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও বিরোধ রয়েছে। হামাস তাদের পূর্বশর্তে অটল, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিরতির পর সব ধরনের শত্রুতার স্থায়ী অবসান এবং ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। কিন্তু, ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল এসব বিষয়ে খুব বেশি নমনীয় হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে, ইসরায়েল তাদের তিনটি প্রধান লক্ষ্যেই অটল থাকবে—‘সব জিম্মিকে জীবিত বা মৃত ফিরিয়ে আনা, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজাকে ইসরায়েলের জন্য আর কখনও হুমকি না হতে নিশ্চিত করা।’

 

আজকের প্রথা/আলআ