গাজায় একদিনে প্রাণহানি ৯৮-মোট নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার


ছবি : সংগৃহীত
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান ও গোলাবর্ষণে গাজার উপত্যকায় কমপক্ষে ৯৮ জন নিহত এবং আরও ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সময় গণনায় অন্তর্ভুক্ত মরদেহ ও আহতদের সংখ্যা হাসপাতালে বহন করা হয়েছে; তবে মৃত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়ে থাকা অনেক মানুষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পর থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৬৫,০৬২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫,৬৯৭ জনে পৌঁছেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত অনুপাতে আরও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে কারণ অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রতিদিন নতুন করে মরদেহ ও আহত হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
গত ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল; সেই সময় গাজার জিম্মিদের মুক্তি সংস্করণটি কার্যকর রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৮ মার্চ ঐ বিরতি ভেঙে পুনরায় অভিযান শুরু করলে আরও ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংস দেখা যায়। সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসে গাজায় অন্তত ১২,৫১১ জন নিহত এবং ৫৩,৬৫৬ জন আহত হয়েছেন বলে আরও একটি ভাগবিশ্লেষণে উল্লেখ রয়েছে।
ত্রাণ ও খাদ্যসংগ্রহ করতে গিয়ে চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিক থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপরও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মে প্রথমবার ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর গুলি চালানো হয় এবং পর থেকে এ ধরনের হামলা নিয়মিতভাবে ঘটছে; সম্প্রতি এক বিশেষ ঘটনায় একই দিনে ৭ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে। তবে মে মাসের পর থেকে ত্রাণ সংগ্রহে হতাহতদের মোট সংখ্যা যথাক্রমে ২,৫০৪ জন এবং ১৮,৩৪৮ জনে পৌঁছিয়েছে।
ইসরায়েলি পদক্ষেপের ফলে গাজার অভ্যন্তরে খাদ্য সরবরাহ সীমিত হওয়ায় অপুষ্টি ও খাদ্যাভাব তীব্রতর হয়েছে; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, খাদ্য ও অপুষ্টিজনিত কারণে গত প্রায় দুই বছরে ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪৬ জন শিশু। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ বারবার সামরিক অভিযান থামানোর আহ্বান জানিয়েছে; তবু কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামাস দুর্বলকরণ ও জিম্মিদের মুক্ত করা না হলে অভিযান স্থগিত করা হবে না।










