গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি


গাজায় মানবিক বিপর্যয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা । ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও যুদ্ধ আইনের তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু ও নারী।
অন্যদিকে গুলি ও বোমার চেয়েও ভয়াবহভাবে বাড়ছে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা। অপুষ্টিজনিত কারণে গত একদিনে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। ফলে গাজায় অনাহারে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যার মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
গাজা শহর, দেইর আল-বালাহ এবং আল-মাওয়াসির বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। বহু পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। অনেককে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে চলমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আংশিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কিছু এলাকায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখা হবে। এসব এলাকাকে ‘মানবিক করিডর’ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে। বিমানপথে প্রথম দফায় ২৫ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তবে জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই এয়ারড্রপ কোনোভাবেই সড়কপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প নয়।
গাজার জনজীবন এখন মৃত্যু, অনাহার ও আতঙ্কের এক করুণ বাস্তবতায় বন্দি। শিশুদের কান্না, মায়ের আর্তনাদ ও হাসপাতালের অভাব-অভিযোগ যেন গোটা বিশ্ব বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।