গাজা সিটিতে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ব্যাপক প্রাণহানি-নিহত ৭৭ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
৩১ আগস্ট, ২০২৫ এ ৩:০৬ এএম
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত, স্বজনের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত, স্বজনের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। শনিবার একদিনেই ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৭ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৪৭ জন ছিলেন গাজা সিটির বাসিন্দা। এছাড়া রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন ফিলিস্তিনি।

রোববার (৩১ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বোমাবর্ষণ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের মুখে শত শত ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। হাতে গোনা কিছু মালপত্র নিয়ে ট্রাক, ভ্যান কিংবা গাধার গাড়িতে করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছাড়ছেন তারা।

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাবু গেড়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে নেমেছেন বহু পরিবার। অনেকে এর আগেও একাধিকবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সতর্ক করেছে যে, ইসরাইলি সেনারা আগস্টের শুরু থেকে গাজায় হামলা জোরদার করেছে এবং শহর দখল ও প্রায় ১০ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার উদ্দেশ্যে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। শুক্রবার ইসরাইল গাজা নগরীকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা করে দখলের প্রাথমিক ধাপ শুরু করার ঘোষণা দেয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবারের হামলায় শুধু গাজা নগরীতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণে সাতজন প্রাণ হারান। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবকদের ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, “গাজা নগরীতে হামলার পরিধি আরও বাড়ছে। ঘরবাড়ি, কমিউনিটি সেন্টার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অবকাঠামো ভেঙে পড়ছে। অনাহার, দুর্ভিক্ষ ও পানিশূন্যতার মধ্যে সাধারণ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে।”