ইসরাইলের চার কৌশলগত স্থাপনায় হুথিদের ড্রোন হামলার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
১৩ আগস্ট, ২০২৫ এ ৬:০৭ এএম
গাজার আগ্রাসনের জবাবে ইসরাইলকে টার্গেট করল হুথিরা : সংগৃহীত

গাজার আগ্রাসনের জবাবে ইসরাইলকে টার্গেট করল হুথিরা : সংগৃহীত

ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরাইলের চারটি কৌশলগত স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালানোর দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য, গাজায় চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযান এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর সংঘটিত ‘নৃশংসতা’র জবাব হিসেবেই এই হামলা পরিচালিত হয়েছে।

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা বন্দর, নেগেভ অঞ্চল, উম্ম আল-রশরাশ (আইলাত) এবং বিরসেবা শহর। তিনি দাবি করেন, ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করে এই অভিযান চালানো হয় এবং সবগুলোই নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে। ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, “গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তবে এই হামলা নিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

প্রেক্ষাপট হিসেবে বলা হচ্ছে, গাজায় ইসরাইলি হামলা ও দীর্ঘস্থায়ী অবরোধই এই ধরনের পাল্টা আক্রমণের মূল কারণ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৫১৩ জন।

এছাড়া খাদ্যাভাব ও অনাহারের কারণেও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। মন্ত্রণালয় জানায়, খাবারের সংকটে আরও পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ফলে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, যার মধ্যে ১০৩ জন শিশু। বিশ্লেষকরা বলছেন, হুথিদের হামলার মধ্যে হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনা টার্গেট করা এই প্রথম বড় ঘটনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা নিয়মিতভাবে ইসরাইল অভিমুখে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আসছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

সূত্র: আলজাজিরা