ইমরান খান খুব শিগগিরই প্রভাব হারাচ্ছেন: দাবি রানা সানাউল্লাহর


পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগবিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছেন যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান খুব শিগগিরই তার রাজনৈতিক প্রভাব হারাতে যাচ্ছেন। রোববার গুজরানওয়ালার এক জনসভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি ইমরান খানের শাসনকাল, এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ সংকট সম্পর্কে বিস্তারিত সমালোচনা তুলে ধরেন।
গুজরানওয়ালায় আয়োজিত জনসভায় রানা সানাউল্লাহ বলেন, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার সে সময় রাষ্ট্রকে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিল। তার মতে, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে অস্থিরতা এবং দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ফলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ওই সময়কার কিছু সিদ্ধান্তের দায় তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজবার ওপরও বর্তায়।
রানা সানাউল্লাহ আরও বলেন, নওয়াজ শরিফ তার শাসনামলে কখনোই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেননি। কিন্তু পিটিআই নেতৃত্ব নিয়মিতভাবে এসব প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত করেছে, যা মূলত রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ‘সরিয়ে দেওয়া’র প্রচেষ্টা থেকেই ইমরান খান ও এস্টাবলিশমেন্টের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। তার দাবি, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা নিয়মিতই প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, যা পরবর্তীতে তীব্র মতবিরোধের রূপ নেয়।
পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে রানা সানাউল্লাহ বলেন, দলটির প্রায় ৮৫ শতাংশ নেতা-কর্মী আর ইমরান খানের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার সঙ্গে একমত নন। তার মতে, পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কৌশল বর্তমানে এমকিউএম প্রতিষ্ঠাতার বিতর্কিত পদ্ধতির মতো হয়ে যাচ্ছে, যা পাকিস্তানের জনগণ কখনোই দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অতীতে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার উগ্র বর্ণনার অংশ ছিল। জনগণ দেশের বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করে না, তাই এমন প্রচারণা ভবিষ্যতে কখনোই সফল হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সামা টিভিকে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব মন্তব্য উপস্থাপন করেন সানাউল্লাহ। তার দাবি, পিটিআইয়ের দুর্বল অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমে যাওয়াই ইমরান খানের সম্ভাব্য রাজনৈতিক দুর্বলতার প্রধান কারণ।










