তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু ভবন


তুরস্কের সিন্দিরগিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৮১ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারান।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বালিকেসিরের সিন্দিরগি শহরে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অন্তত ১৬টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্প ইস্তাম্বুল পর্যন্ত অনুভূত হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জানিয়েছেন যে, উদ্ধার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আল্লাহ আমাদের দেশকে সব ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে এবং এর বাইরে আর কোনও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সিন্দিরগি থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিশাল ভবনসমূহ সম্পূর্ণ ধসে গিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক প্রায়ই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পড়ছে। দেশটি তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি সর্বদা বিরাজমান। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ৫০ হাজারের বেশি এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত হয়। বিধ্বংসী সেই ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত হওয়া বহু মানুষ এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।