গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত ইসরাইল, জানালেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
৫ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৩:৪৯ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে হামাসের সম্মতি পেলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “ইসরাইল প্রথম ধাপে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি জানিয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা আসলেই এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।”

এর আগে, মার্কিন প্রশাসনের ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এমন সিদ্ধান্তের পর হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের সম্ভাব্য সীমারেখা দেখানো হয়।

ট্রাম্প বলেন, “প্রস্তাবিত সীমারেখার মধ্যেই ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার করবে। তবে হামাস যদি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, তাহলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।” তিনি আরও যোগ করেন, এই চুক্তি সফল হলে গাজা উপত্যকায় স্থায়ী শান্তির পথ খুলে যেতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, খুব শিগগিরই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি দাবি করেন, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপে হামাসের কাছে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে হামাসকে নিরস্ত্র করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু।

বিবিসি ভেরিফাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও প্রথম ধাপের সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একদিকে শান্তির ইঙ্গিত হলেও অন্যদিকে অঞ্চলের জটিল বাস্তবতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।