ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
আন্তর্জাতিক ডেষ্ক
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৪:৪৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরোচিত হামলায় নতুন করে আরও অন্তত ৭২ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। একদিনের এই হত্যাযজ্ঞে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ হাজারেরও বেশি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই বছর ধরে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজার প্রায় প্রতিটি অঞ্চল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, বুধবার গাজাজুড়ে চালানো ধারাবাহিক বোমাবর্ষণে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪ হাজার ৬৫৬ জনের বেশি। শহরের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেও ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপরও নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষত রাজধানী গাজা সিটিতে হামলার মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করে।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম গাজায় বাস্তুচ্যুত পরিবারের তাঁবুতে চালানো গোলাবর্ষণে একই পরিবারের অন্তত ১৫ জন নিহত হন। বহুতল ভবন, শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতালের আশপাশেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম গাজার নাসের স্ট্রিটে একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের নিকটে এক তাঁবুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একজন নিহত হন এবং কয়েকজন আহত হন। শেখ রাদওয়ান এলাকা, বুরেইজ শরণার্থী শিবির ও দেইর আল-বালাহ শহরে পৃথক হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও অনেকে হতাহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের জালাল স্ট্রিটে গোলাবর্ষণে চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, দীর্ঘ এই অভিযানে গাজার জনগণ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছে। হাসপাতালগুলো ওষুধ ও সরঞ্জামের অভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।