অতিবৃষ্টি ও সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নোয়াখালী জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি রয়েছে। পরবর্তীতে ১০ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।”
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “জলাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য মোবাইল ফিল্টার প্ল্যান্ট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে। সাপে কাটা ও ডায়রিয়াসহ জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জালাল উদ্দীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখিনুর জাহান নিলা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা।

আজকের প্রথা/এআরএল