বন বিভাগের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের  মতবিনিময়

শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠায় বনবাসীদের গৃহ ও জনশুমারি শুরু

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১০ জুলাই, ২০২৫ এ ১:০৫ এএম
শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠায় বনবাসীদের গৃহ ও জনশুমারি বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় সভা । ছবি : আজকের প্রথা

শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠায় বনবাসীদের গৃহ ও জনশুমারি বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় সভা । ছবি : আজকের প্রথা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শালবনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ‘শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রকল্প’ নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সদিচ্ছায় এই প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়নের পথে—এমন তথ্য জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের মধুপুর দোখলা রেঞ্জের রেস্ট হাউজে আয়োজিত গৃহ ও জনশুমারি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক, কারিতাসের জরিপ অ্যাপ নির্মাতা বাঁধন চিরান, দোখলা সিএমসির সভাপতি আব্দুল মোতালেবসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ডিএফও জানান, প্রকল্পের আওতায় বন এলাকা থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ প্রজাতির আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ অপসারণ করা হবে। পরিবর্তে শালবন উপযোগী স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করা হবে। বনবাসীদের ইচ্ছা, পছন্দ ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়েই গাছের প্রজাতি নির্ধারণ করা হবে।

এছাড়াও বন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে গাছের ফাঁকে লাভজনক সাথী চাষের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীকে ১০ বছর পর গাছ কাটার অনুমতি না দিয়েই গাছের মূল্য নির্ধারণ করে সরকার অর্থ প্রদান করবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের ২৫ ভাগ বনভূমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর অংশ হিসেবে ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে গৃহ জরিপ শুরু হচ্ছে, যা চলবে পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসব্যাপী। মধুপুর বনের চারটি রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত ১০টি বিট এলাকায় ২০ জন জরিপকারীর মাধ্যমে ১৮টি মৌজার ১০২টি গ্রামে এই জরিপ পরিচালিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে জরিপ কার্যক্রম। এ কাজে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

 

আজকের প্রথা/এআরএম