প্রেক্ষাগৃহে আসছে মধুপুরের সবুজ খানের ‘বেহুলা দরদী’

আরশেদ আলম (ভ্রাম্যমাণ) প্রতিনিধি
আরশেদ আলম (ভ্রাম্যমাণ) প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৯:২৯ এএম
ছবি: বেহুলা দরদী সিনেমা

ছবি: বেহুলা দরদী সিনেমা

আগামী ৩১ অক্টোবর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘বেহুলা দরদী’। টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি ও বেহুলা নাচারি গীতিনাট্যকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। উৎসব অরিজিনালসের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম।

টাঙ্গাইলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় একসময় বেহুলা ও লখিন্দরের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গীতিনাট্য বেহুলা নাচারি পালা প্রদর্শিত হতো। এমন একটি দলের সদস্যদের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার কাহিনী। গল্পে দেখা যাবে, নাগবাড়ি বেহুলা নাচারি দলের প্রধান ভোলা মিয়া তাদের নাচারি গানের দলটিকে টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কয়েকবার ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হেরে দলটির সম্মান প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় দলটিকে প্রতিযোগিতায় জেতাতে চলে নানা চেষ্টা। দলের প্রধান ভোলা মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। আরও আছেন প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, আজিজুন মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল, সানজিদা মিলাসহ সহ মধুপুরের একঝাঁক অভিনয় শিল্পী । পুরো সিনেমার শুটিং হয়েছে টাঙ্গাইলে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান উৎসব অরজিনালসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের সব সিনেমাই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না। কিছু সিনেমা শুধুই বিনোদন, দর্শক চাহিদা আর বাণিজ্যিক বিষয়টি মাথায় রেখে বানানো হয়। আবার কিছু সিনেমা তৈরি হয় দেশের মাটি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রাকে আমলে নিয়ে। সে ক্ষেত্রে নির্মাতার দর্শন ও ভাবধারা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বেহুলা দরদী তেমনই একটি সিনেমা, যার পরতে পরতে মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। আর পাওয়া যাবে এ দেশের মানুষের যাপিত জীবনের সন্ধান!’ ফজলুর রহমান বাবু বলেন, বেহুলা দরদী টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির গল্পে নির্মিত একটি সিনেমা। সবুজ খানের পরিচালনায় দারুণ একটি কাজ হয়েছে। সব থেকে বড় কথা, আমরা কাজটি করেছি একটি দায়বদ্ধতা থেকে। কারণ আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিশ্বদরবারে তুলে ধরাটা সত্যি আনন্দের।’

বেহুলা দরদী সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মোশাররফ করিম, যাহের আলভীসহ অনেক অভিনয়শিল্পী। মোশাররফ করিম বলেন, ‘ভাসান গানের একটি দলের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেহুলা দরদী। পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। গল্পটি শুনেই আমি আনন্দিত, কারণ এটি আমাদের লোকজ সংস্কৃতির গল্প, আমাদের মাটির গল্প। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সিনেমাটি দেখার জন্য। আপনাদের অংশগ্রহণ আমাদের চলচ্চিত্রকে বেগবান করবে।’