আবেগঘন মুহূর্তে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা সোহেল রানা

বিনোদন ডেষ্ক
বিনোদন ডেষ্ক
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ৩:০১ এএম
ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ছবি:সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ছবি:সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন। বয়সের ভারে এখন তিনি নিয়মিতভাবে আর সিনেমার পর্দায় দেখা দেন না। তবে এখনও সিনেমার প্রতি তার টান ও সহকর্মীদের জন্য মমতা আগের মতোই রয়ে গেছে।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে আবেগঘন মুহূর্তে তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে খোলামেলা বক্তব্য দেন। নতুন ও পুরোনো শিল্পীদের ভিড়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এ বর্ষীয়ান অভিনেতা।

এ সময় তিনি বলেন, “কে কখন চলে যাব, তা কেউ জানে না। তাই এ সুযোগে যারা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন, তাদের উদ্দেশে বলছি—আমি যদি কারও প্রতি কোনো অন্যায় বা ভুল করে থাকি, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি ভুল করেছি, ভুল অনেক করেছি। মৃত্যুর পর মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নীতি ও আদর্শ নিয়ে দাঁড়াতে চাই।”

সোহেল রানা চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন নায়ক হিসেবে। তবে প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে, বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটিতে কোনো প্রপ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি, যা সে সময় ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

পরের বছর ১৯৭৩ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একই ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন সোহেল রানা।

অভিনয়ে অনন্য অবদানের জন্য তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০১৯ সালে পান আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, যা তার ক্যারিয়ারের অনন্য স্বীকৃতি হয়ে রয়েছে।