২৯ বছর পর হত্যা মামলা

কোথায় লুকিয়ে আছেন সালমান শাহর হত্যা মামলার আসামিরা?

বিনোদন ডেষ্ক
বিনোদন ডেষ্ক
২৮ অক্টোবর, ২০২৫ এ ৫:৩৫ এএম
সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সামিরাসহ ১১ জনকে। ছবি: সংগৃহীত

সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সামিরাসহ ১১ জনকে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আবারও আলোচনায় এসেছে তার রহস্যজনক মৃত্যু। আদালতের নির্দেশে মামলাটি এখন হত্যাকাণ্ড হিসেবে তদন্তের পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের নিজ ফ্ল্যাটে সালমান শাহকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করলেও পরিবার তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর নারাজির পর আদালত মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন।

দীর্ঘ ২৯ বছর পর, ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহর মামা ও চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর হোসেন কুমকুম বাদী হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুছি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামিদের অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। অপর আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ বর্তমানে লন্ডনে আছেন। অন্যদিকে সামিরা হক, তার মা লতিফা হক লুছি ও অভিনেতা ডন দেশে ছিলেন, তবে আদালত হত্যামামলার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা। এখনো তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানাতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।

সালমান শাহর মৃত্যুর পর থেকে ঘটনাটি পর্যায়ক্রমে তদন্ত করেছে চারটি সংস্থা—রমনা থানা, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই। প্রত্যেক সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সর্বশেষ পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে ইনস্পেক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবার ও ভক্তদের অভিযোগ, প্রকৃত হত্যার রহস্য চাপা দেওয়া হয়েছে।

নতুন করে হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা থানার ইনস্পেক্টর আতিকুল আলম খান্দকারকে। তিনি জানান, তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসামিদের অবস্থান শনাক্ত ও নজরদারির জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে তথ্য পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারেন। তদন্ত কর্মকর্তার ভাষায়, “আসামিরা কে কোথায় আছেন, সেটি জানার চেষ্টা চলছে; নিশ্চিত হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।