বুয়েটে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার


ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) চলমান তিন দফা দাবিতে টানা তিন দিন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের পর তা প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার রাতে তারা ঘোষণা দেন, শাটডাউন শেষ হলেও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’–এর সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনের লক্ষ্য থেকে তারা সরে আসেননি। সন্ধ্যায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পরই এ ঘোষণা আসে।
এর আগে বুধবার রাতের সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এতে বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। গত তিন দিন ধরে বুয়েট ক্যাম্পাস কার্যত ফাঁকা ছিল, যদিও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু ছিল।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ এবং ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা। দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীদের পাশাপাশি উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন, এমন সুযোগ সৃষ্টি করা। এবং শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্নকারীরাই যেন নিজেদের ‘প্রকৌশলী’ লিখতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা গত সপ্তাহে শাহবাগে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়, লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসে বহু শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি দেশের প্রকৌশল সমাজে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যে প্রকৌশলী পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবি যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের দাবি নীতিগতভাবে পূরণ হবে।