বিনামূল্যের বই বিতরণে মাউশির নতুন ৫ নির্দেশনা জারি

শিক্ষা ডেস্ক
শিক্ষা ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ এ ৯:৩৫ এএম
নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সময়মতো বই বিতরণ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি, দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড) পর্যায়ের পাঠ্যবই মুদ্রণ শেষে সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুত ও মানসম্মত বই পৌঁছে দিতে এই কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

মাউশি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বই গ্রহণ ও বিতরণে যেকোনো ধরনের অবহেলা বা বিলম্ব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোকে এনসিটিবি নির্ধারিত প্রযুক্তিগত মান অনুযায়ী মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠ্যবই গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বই গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনলাইনে নির্ধারিত সিস্টেমে চালান অনুমোদন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ ধারাবাহিকভাবে বই গ্রহণ ও বিতরণ কার্যক্রম চালু রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই বই সরবরাহে শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে বই পাবে।

মাউশি আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিজ নিজ ইউজার অ্যাকাউন্টে অফিসারের নাম, মোবাইল নম্বর এবং স্বাক্ষর হালনাগাদ করে আপলোড করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে তদারকি কার্যক্রম সহজ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

বর্তমানে বই বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সর্বোচ্চ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বছরের শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়া যায়।