রপ্তানিতে বড় ধাক্কা

স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় কমেছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই, ২০২৫ এ ৪:৫৯ এএম
বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাধা - ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাধা - ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ভোমরা ছাড়া দেশের অন্যান্য সব স্থলবন্দর দিয়ে খাদ্য, ফল, পানীয় ও পোশাকজাত পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রপ্তানিকারকরা ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন প্রতিটি রপ্তানি পণ্যের জন্য বাধ্যতামূলক ল্যাব টেস্ট করতে হচ্ছে, যার ফলে পণ্য পাঠাতে সময় লাগছে ১০ দিন পর্যন্ত। একাধিক রপ্তানিকারক জানিয়েছেন, শুধু ভোমরা বন্দর ব্যবহার করায় পরিবহন খরচ এবং লজিস্টিক চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৪৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য, যেখানে আগের অর্থবছরে ছিল ১৯২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রপ্তানিতে বড় ধরনের পতন হয়েছে। শুকনো খাবার, কনফেকশনারি ও পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যে রপ্তানি হ্রাসের হার ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানিয়েছেন, ভোমরা বন্দরের ওপর নির্ভর করতে গিয়ে রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরণের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, "এটা শুধু মানের প্রশ্ন নয়, বরং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।"

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতের ওপর নির্ভরশীল, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, ইউরোপ-আমেরিকান বাজারে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে।

বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাংলাদেশের সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগ চায়। তারা মনে করেন, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত নয়। অন্যথায়, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানির সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।