বাংলাদেশে টয়োটা হায়েস বিক্রির দায়িত্ব পেল প্রগতি

অর্থনীতি ডেস্ক
অর্থনীতি ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ এ ৫:২০ এএম
চট্টগ্রামে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় টয়োটা হায়েস বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় টয়োটা হায়েস বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বাণিজ্যিক যানবাহনের বাজারে নতুন সংযোজন হিসেবে জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড টয়োটার জনপ্রিয় মডেল টয়োটা হায়েস বিক্রি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। শিল্প মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রগতি ও টয়োটার মধ্যে স্বাক্ষরিত নতুন চুক্তির মাধ্যমে এই গাড়ি দেশের বাজারে সরবরাহ করা হবে, যা স্থানীয় অটোমোবাইল শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে অবস্থিত প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই পার্টনারশিপের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টয়োটা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমিথ সিং। এছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যান মু. আনোয়ারুল আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নতুন চুক্তির আওতায় বাজারে আসা টয়োটা হায়েস কমিউটার একটি আধুনিক ১২ আসনবিশিষ্ট বাণিজ্যিক যানবাহন। এতে রয়েছে ২৬৯৪ সিসি বা ২ দশমিক ৭ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন অকটেনচালিত ইঞ্জিন এবং ৫-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ার ব্যবস্থা, যা দীর্ঘপথ ও যাত্রী পরিবহনের জন্য উপযোগী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গাড়িটিতে আরও রয়েছে ২৫৭০ মিলিমিটার হুইলবেস, ২৪১ নিউটন মিটার টর্ক, ডাবল উইশবোন ও লিফ স্প্রিং সাসপেনশন, টু-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম এবং ৭০ লিটার ধারণক্ষমতার জ্বালানি ট্যাংক। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত টয়োটা হায়েস কমিউটার গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ভবিষ্যতে স্থানীয় পর্যায়ে সংযোজন ও বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যা দেশীয় অটোমোবাইল শিল্পে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।