কুয়াকাটায় নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণে যুবকের কারাদণ্ড


ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার বাইরে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঘটে গেল ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। নারী পর্যটকদের গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন মো. রুবেল (৩০) নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়ভাবে একটি মুদি দোকান চালানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতেন। সেদিন সৈকতে গোসলরত নারী পর্যটকদের গোপনে ভিডিও ধারণ করছিলেন এবং অশ্লীল মন্তব্যও করছিলেন।
স্থানীয় ফটোগ্রাফার কাওছার জানান, প্রথমে মনে হয়েছিল তিনি হয়তো পরিবারের কারও ভিডিও করছেন। কিন্তু পরে লক্ষ্য করা যায় তিনি ঘুরে ঘুরে বহু নারীর ভিডিও ধারণ করছেন। কাছে গিয়ে দেখা যায়, মোবাইল ক্যামেরায় অশ্লীল কনটেন্ট রেকর্ড করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ধরে ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ডাব বিক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে কাছে গিয়ে দেখি তার মোবাইলে নারী পর্যটকদের অন্তত পঞ্চাশটিরও বেশি অশ্লীল ভিডিও রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা একযোগে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ঘটনার পর উপস্থিত পর্যটকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, পরিবার নিয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসে যদি নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়তে হয়, তবে পর্যটন এলাকা হিসেবে কুয়াকাটার সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসিন সাদেক জানান, অপরাধীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, পর্যটকদের হয়রানি বা অপ্রীতিকর আচরণের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।