এএফসি অ-২০ এশিয়ান কাপে খেলতে চায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

বিনোদন ডেষ্ক
বিনোদন ডেষ্ক
১ আগস্ট, ২০২৫ এ ৪:৫০ এএম
এএফসি অ-২০ এশিয়ান কাপ।  ছবি  সংগৃহীত

এএফসি অ-২০ এশিয়ান কাপ। ছবি সংগৃহীত

ব্যস্ত সময় পার করছেন আফঈদা খন্দকার ও তার সতীর্থরা। মিয়ানমারে মেয়েদের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করেই অংশ নিয়েছেন ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে। এবার তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ—লাওসে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই।

আগামী শনিবার লাওসের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। লক্ষ্য একটাই—বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলনেত্রী আফঈদা খন্দকার বলেন,
“আমরা সেখানে ভালো খেলেই কোয়ালিফাই করতে চাই। সাফ টুর্নামেন্টে সবাই গেম টাইম পেয়েছে। যাঁরা মিয়ানমারে খেলেছেন, তাঁরা কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছেন। ফলে ক্লান্তির কোনো প্রভাব নেই।”

এবারের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস এবং তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ তিমুরলেস্তে। বাংলাদেশ ৬ আগস্ট লাওস, ৮ আগস্ট তিমুরলেস্তে ও ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে।

বাছাইয়ের আট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিন রানার্সআপ আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মূলপর্বে অংশ নেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে থাকার কারণে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকছে সেরা রানার্সআপ হওয়ার।

দলের প্রধান কোচ ব্রিটিশ নাগরিক পিটার বাটলার বলেন,
দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী দল। তবে আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের বিপক্ষে। সেটি আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই।

বাংলাদেশ এর আগে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী টুর্নামেন্টে দুবার মূলপর্বে খেলেছে, কিন্তু অনূর্ধ্ব-২০ আসরে এখনো সেই কৃতিত্ব অর্জিত হয়নি।

২০১৯ সালের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ বলেন,
এটা ২০২৫ সাল, ২০১৯ নয়। আমরা ভবিষ্যতের দিকেই নজর দিচ্ছি। এদেশে অতীত নিয়েই বেশি আলোচনা হয়, কিন্তু আমাদের সামনে এগোতে হবে।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্ট খেলা ২৩ জন খেলোয়াড়ই লাওস যাচ্ছেন। দলে আছেন ৯ জন খেলোয়াড়, যাঁরা এর আগে সিনিয়র জাতীয় দলে খেলেছেন। সিনিয়র দলের জন্য যেসব প্রতিপক্ষ রয়েছে, যেমন উত্তর কোরিয়া ও চীন, তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেও এই টুর্নামেন্টকে গুরুত্ব দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা।

অধিনায়ক আফঈদা বলেন,
“অবশ্যই এই ম্যাচগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে। এটি আমাদের অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।