আর্জেন্টিনা আগের দিন আফ্রিকান রাষ্ট্র অ্যাঙ্গোলাকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল। তার ঠিক এক দিন পর ব্রাজিলও একই ব্যবধানে জয় তুলে নিল সেনেগালের বিপক্ষে। আফ্রিকান এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এটিই ব্রাজিলের প্রথম জয়, যা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য বিশেষ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম গোলটি করেন এস্তেভাও। এর পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার কাসেমিরো। ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক খেলায় শনিবারের ম্যাচটি ২-০ গোলে জয় নিশ্চিত করে সেলেসাওরা।

পুরো ম্যাচ জুড়েই আক্রমণের আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের। দলটি মোট ১৪টি শট নেয়, যার মধ্যে ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ২০২২ সালে লিসবনে পিছিয়ে থেকেও ব্রাজিলকে হারানো সেনেগাল এই ম্যাচে ১১টি শটের মধ্যে মাত্র একবার লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। ফলে তারা আরেকটি জয়ের পুনরাবৃত্তি করতে ব্যর্থ হয়।

ব্রাজিল ও সেনেগাল প্রথমবার মুখোমুখি হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে, যেখানে প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ২০২৩ সালের আবারও মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিলকে হারায় সেনেগাল। তবে এবারের সাক্ষাতে সেই হারের প্রতিশোধ নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল। আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ দেখায় এটিই ব্রাজিলের প্রথম জয়। এর আগে তারা মরক্কো ও ক্যামেরুনের কাছে পরাজিত হয়েছিল।

ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ তৈরি করেছিল ব্রাজিল। চতুর্থ মিনিটে ম্যাথিউস কুনহার নেওয়া শট পোস্টে লাগে। পরে ১৭ মিনিটে তার হেড ক্রসবারে আঘাত করে। এর মাঝে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি দূরপাল্লার শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন সেনেগালের গোলরক্ষক এদুয়ার্দো মেন্দি। অবশেষে ২৮তম মিনিটে কাসেমিরোর থ্রু বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে এস্তেভাওয়ের কাছে পৌঁছায়, এবং তিনি বাঁ পায়ের শটে গোলটি নিশ্চিত করেন।

৩৫তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোলটি। রদ্রিগোর নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাসেমিরো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক মেন্দিকে পরাস্ত করেন। এই জয়ে ব্রাজিলের কোচ আনচেলত্তি তার সপ্তম ম্যাচে চতুর্থ জয় পেলেন। আগামী মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।