বাংলাদেশে দিল্লির মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি: হাসনাত আব্দুল্লাহর


রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে কোনোভাবেই দিল্লির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না—এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের রক্তের ওপর ভর করে কোনো বিদেশি শক্তির প্রভাব টিকতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাবেশ ও গণপ্রতিরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সমাবেশে রাজনৈতিক কর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গুলি শুধু ওসমান হাদির মাথার ভেতর দিয়ে যায়নি, তা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বিবেককে আঘাত করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর ধরে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে, তারাই এখন ভিন্ন পরিচয়ে—টকশোর বুদ্ধিজীবী, নাট্যকর্মী বা সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে—আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী কিংবা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে দিল্লির আধিপত্য বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ দেশ স্বাধীন, এখানে বিদেশি মসনদ বসানোর স্বপ্ন যারা দেখছে, তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এনসিপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান নেই। তারা যে নামেই আত্মপ্রকাশ করুক না কেন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। গুলশানে জাতীয় পার্টির নামে যারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে, ওসমান হাদির রক্তের সময়ে তাদের বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জায়গাও দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ওসমান হাদি দেশকে ইনসাফের পথে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও একটি জায়গায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপসের রাজনীতি করছে।
সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্যই পারে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে। তারা বলেন, যেকোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ ও ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ আরও জোরদার করা হবে।










