নাঙ্গলকোটে ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিএনপির রাজনৈতিক আয়োজন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট, ২০২৫ এ ৫:৫০ এএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, নাঙ্গলকোটে বিতর্ক । ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, নাঙ্গলকোটে বিতর্ক । ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লায় নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষাঙ্গনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বিএনপির ইউনিয়ন সম্মেলন। দু’দিনে মোট ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে দলের ১৪ ইউনিয়নের সম্মেলন। মঙ্গলবার ও বুধবার সারাদিনব্যাপী এসব সম্মেলন চলেছে, যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

বুধবার যেসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ঢালুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ঢালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দায়েমছাতি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাঙ্গড্ডা ফাজিল মাদরাসা। আর মঙ্গলবার বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল ভোলাইন বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলাইন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বটতলী এম এ মতিন উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ আলিম মাদরাসা, বক্সগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা বাজার সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসা ও দুয়ারিয়া জামিউল উলূম কওমী মাদরাসা।

শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হলেও মাঠে রাজনৈতিক মঞ্চ, মাইকের শব্দ এবং নেতাকর্মীদের ভিড় দেখে হতবাক হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বিদ্যালয়ে পাঠদান চললেও শেষ পর্যন্ত সবগুলো প্রতিষ্ঠানই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সমালোচনা উঠে এসেছে।

স্থানীয় সূত্র মতে, বিএনপি নাঙ্গলকোটের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টির সম্মেলনের জন্য ১২ ও ১৩ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছিল। প্রথম দিনে ৭টি ইউনিয়নের এবং দ্বিতীয় দিনে আরও ৭টি ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দৌলখাঁড়, আদ্রা উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ ও পেরিয়া ইউনিয়নের সম্মেলন বিদ্যালয় মাঠের বাইরে হলেও বাকি ১০ ইউনিয়নের সম্মেলন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষা সময়কালে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান আয়োজন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটায়। অনেকেই মনে করছেন, বিকল্প স্থানে বা ছুটির পর এই ধরনের আয়োজন করা যেত। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।