জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এবং দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর আদালতের দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোবায়েত ফেরদৌস বাদী পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। আদালত জানায়, মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় পূর্বের নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রয়োজন নেই। জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম জানিয়েছেন, গত ২ আগস্ট বাদী পক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করে। পরবর্তী ১২ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন অনুমোদন করে। এর আগে গত ৩০ জুলাই একই আদালত জিএম কাদের ও মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জনের প্রাথমিক সদস্যপদ ও সাংগঠনিক পদ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল আদালত।
পদ ফেরত পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন—সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, দপ্তর সম্পাদক-২ এম. এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, নাজমা আকতার, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জসীম উদ্দিন এবং আরিফুর রহমান খান। আদালতের আদেশে ক্রমানুসারে জ্যেষ্ঠদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা দলীয় গঠনতন্ত্র অমান্য করে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ১০ জনকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইট থেকেও তাঁদের নাম মুছে ফেলা হয়। এর প্রেক্ষিতেই গত ১০ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। একই সম্মেলনে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হন কাজী ফিরোজ রশিদ এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান হন মুজিবুল হক চুন্নু। তবে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ এই নতুন কমিটি মেনে নেয়নি।