সিআইডির তত্ত্বাবধানে রায়েরবাজারে ১১৪ শহীদের লাশ উত্তোলন শুরু আজ


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাত ১১৪ শহীদের পরিচয় শনাক্তে আজ রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন শুরু। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাতনামা হয়ে নিহত ১১৪ জন শহীদের পরিচয় শনাক্তে তাদের লাশ উত্তোলন করা হবে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশগুলো তোলা হবে এবং পরে সংগ্রহ করা হবে ডিএনএ নমুনা। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার সকাল থেকেই সিআইডির একটি বিশেষ দল কবরস্থান এলাকায় কাজ শুরু করবে। লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে শহীদদের লাশ পুনরায় দাফন করা হবে।
উত্তোলন কার্যক্রম শুরুর আগে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ–সংলগ্ন এলাকায় ব্রিফিং করবেন সিআইডির প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার, ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট এবং অন্যান্য ফরেনসিক পরামর্শক। বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সিআইডি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল করতে চায়।
কবরস্থান এলাকায় ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। শহীদদের দাফনের স্থানগুলো সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিশেষভাবে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মার্বেল পাথর এবং টাইলস ব্যবহার করে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে, যাতে উত্তোলন কাজে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়।
রায়েরবাজার কবরস্থানে শহীদদের লাশ উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং সেখানে অস্থায়ী তাবু স্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, পরিচয় শনাক্তের এই প্রক্রিয়া পরিবারগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারে।
গত ৪ আগস্ট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেন। আদালতে আবেদনটি করেছিলেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলাম।










