শাহবাগে শৃঙ্খল সমাবেশে নতুন প্রত্যয়ের বার্তা দিল ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ আগস্ট, ২০২৫ এ ৩:৩৯ এএম
ছাত্রদলের সমাবেশে আদর্শিক শৃঙ্খলার ছাপ।  ছবি : সংগৃহীত

ছাত্রদলের সমাবেশে আদর্শিক শৃঙ্খলার ছাপ। ছবি : সংগৃহীত

গতকালের শাহবাগে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের সমাবেশটি বাংলাদেশ ছাত্ররাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন সমাবেশটি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি  জানান, “সহিংসতার বদলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মত প্রকাশ ছাত্ররাজনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। শাহবাগে ছাত্রদলের সুশৃঙ্খল উপস্থিতি তাদের পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত দেয়, পাশাপাশি দেশের ছাত্ররাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সূচনা হয়েছে বলেও মনে করি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ছাত্রদল আবার শিক্ষাঙ্গনে ইতিবাচকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।”

ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বর্তমানে পেশাজীবী প্রকৌশলী মো. আমিনুর ইসলাম বলেন, “শাহবাগে ছাত্রদলের এই সমাবেশ নিঃসন্দেহে তাদের পুনরুদ্ধারের বড় এক পদক্ষেপ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে যদি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হয় এবং প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, তাহলে তারা আগামী দিনে দেশের ছাত্ররাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠনে এমন সুশৃঙ্খল রাজনীতি অবশ্যই অনুকরণীয়।”

ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, তারা নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপ, গণসংযোগ এবং সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। উদ্দেশ্য—ছাত্রদলকে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সমাবেশ সফল করতে যে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছিল, তা ছিল—
১. ব্যানার, ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড ছাড়া অংশগ্রহণ
২. নির্ধারিত স্থানেই অবস্থান করা
৩. জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা
৪. কোনো ইউনিটের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ না করা
৫. ব্যক্তিগত শোডাউন বা মিছিল না করা
৬. নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার রেখে সমাবেশস্থল ত্যাগ করা

এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ছাত্রদল সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে।