মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী খুন: যুবদলের দুই নেতা আজীবনের জন্য বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুলাই, ২০২৫ এ ৫:৩২ পিএম
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার দৃশ্য । ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার দৃশ্য । ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চাঁদা না দেওয়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড

গত ৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে সোহাগকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেন যুবদল সংশ্লিষ্ট কিছু দুর্বৃত্ত। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়।

সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় রজ্জব আলী পিন্টু ও সাবাহ করিম লাকির নাম উল্লেখ করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

দলীয় অবস্থান: জিরো টলারেন্স নীতি

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অভিযুক্ত দুই নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের অপকর্মের দায় কোনোভাবেই দল নেবে না।”
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েন মুন্নাসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষর করে কার্যকর করেছেন।

তথ্য বিবরণীতে যুবদলের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে কোনো সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ধরনের শৈথিল্য না দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিএনপির প্রতিক্রিয়া: অপরাজনীতি বরদাশত নয়

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,

“ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে বিএনপি জিরো টলারেন্সের নীতি বাস্তবায়ন করেছে। তবুও বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি ও নোংরা রাজনীতির অংশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্ট করছি—বিএনপি কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না, দিতেও চায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আহ্বান জানাই।”

 

আজকের প্রথা/এআলএ