তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে সুপ্রিম কোর্টে চতুর্থ দিনের শুনানি


সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাতিল হওয়া নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দাখিল করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি আজ (মঙ্গলবার) চলছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইন্টারভেনর হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। তারও আগে ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। এই ধারাবাহিক শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর, যা এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রথম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। পরে একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যা আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে।
এ রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয় ২০১5 সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক প্রথমে আবেদন করেন। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন একই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল করেন।
আজকের শুনানি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, এ রায়ের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নির্বাচনের ধরন ও নির্বাচনী কাঠামোর সম্ভাব্য পরিবর্তন। আপিলের যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালত প্রতিদিনই এই বিষয়ে শুনানি চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।








