অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে স্বীকৃতি সরকারের


রাষ্ট্রের ভিআইপি মর্যাদা পাওয়ার পর রাজধানীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি)’ ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকা থেকে জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১–এর ২(ক) ধারার আওতায় খালেদা জিয়াকে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। এর ফলে তিনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও বিশেষ প্রটোকলের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভিআইপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা, চলাচল নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা সহায়তা এবং প্রটোকল সেবা আরও জোরদার করা হয়। খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক ভূমিকা ও জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে বার্ধক্যজনিত জটিলতা ও নানান শারীরিক সমস্যার কারণে খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে এবং প্রয়োজনীয় সাপোর্ট সিস্টেম জোরদার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও নিয়মিত তার খোঁজখবর নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় ভিআইপি মর্যাদা ঘোষণার পর খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। চিকিৎসা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও চলমান প্রক্রিয়া নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে গ্রহণ করা হবে।








