প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে ৬২ জন: টিআইবির দাবি ভ্রান্ত


প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী দলের প্রকৃত সংখ্যা ৬২ জন বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। টিআইবির দাবি তিনি ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী প্রতিনিধিদলের সদস্যসংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে দাবি করেছে, সেটিকে ভুল তথ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের প্রকৃত সদস্য সংখ্যা ৬২ জন, যা টিআইবি উল্লেখিত ১০০ জনের বেশি নয়।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ফয়েজ আহম্মদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিনিধি দলের সদস্যসংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এটি ছিল ৫৭ জন। তিনি আরও জানান, এবারের দলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যই নিরাপত্তা কর্মী, যারা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত হুমকির কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা দৈনিক ১৬ ঘণ্টার শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফয়েজ আহম্মদ তার পোস্টে টিআইবির বক্তব্যকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেন, এটি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এবারের প্রতিনিধি দল সংখ্যায় ছোট হলেও শেখ হাসিনা আমলের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্যনির্ভর ও কার্যকর। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, টিআইবির মতো স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করা একটি সংগঠন যাচাই না করেই এ ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
তিনি লিখেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য হলো দেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরা। ইতোমধ্যেই তারা এক ডজনেরও বেশি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছে, যেখানে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়েছে।
ফয়েজ আহম্মদ আরও জানান, এবারের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন সদস্য। পাশাপাশি অন্যরা পৃথক সফরে এসে বৈশ্বিক নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই সফর তার একটি প্রমাণ।